কাশ্মিরে ‘ইসরায়েলি কায়দায়’ ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ভারতীয় সেনারা
আপলোড সময় :
২৮-০৪-২০২৫ ১০:৪৩:০৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
২৮-০৪-২০২৫ ১০:৪৩:০৫ পূর্বাহ্ন
জম্মু-কাশ্মিরে গত ২২ এপ্রিল ২৬ জনকে হত্যা করে বন্দুকধারীরা। এ হামলার পর নিজেদের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে রীতিমতো তাণ্ডব চালাচ্ছে ভারতীয় সেনারা। সঙ্গে চলছে ধ্বংসযজ্ঞ।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা রোববার (২৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পেহেলগামের সেই হামলার পর জম্মু-কাশ্মিরে অন্তত ৯টি বসত বাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। যেগুলো বিদ্রোহীদের বাড়ি বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
ফারুক তিদা নামের এক বিদ্রোহীর আত্মীয় বলেছেন, ভারত এখন ইসরায়েলি কৌশল অবলম্বন করছে। তারা ইসরায়েলিদের মতো বাড়ি ধ্বংস করছে। ফিলিস্তিনি কোনো স্বাধীনতাকামী যদি ইসরায়েলিদের ওপর হামলা চালায় তাহলে তাদের বাড়ি ধ্বংস করে দেয় দখলদার ইসরায়েলের সেনারা। যা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মতামত মানবাধিকার সংস্থাগুলোর।
ভারতীয় সেনারা ফারুক তিদার বাড়ি ধ্বংস করার পর তার আত্মীয় ক্ষোভ ঝেরে আলজাজিরাকে বলেন, “স্থানীয়দের শাস্তি দিতে এগুলো ইসরায়েলি কৌশল। এই নিরীহ পরিবারগুলোর দোষ কী? এই বাড়িগুলোর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সম্পর্ক নেই। যখন বিদ্রোহীরা বছর বছর আগে বাড়ি ছাড়ে, তখন তারা তাদের পরিবারদেরও ছেড়ে যায়।” ফারুক তিদা লস্কর-ই-তৈয়বায় যোগ দিয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। গত রোববার তার পারিবারিক বাড়িটি বিস্ফোরক দিয়ে ধ্বংস করা হয়।
ফারুক তিদার পরিবার জানিয়েছে, তিনি ১৯৯০ সালের দিকে পাকিস্তানে চলে যান। এরপর আর কখনো ফিরে আসেননি। দক্ষিণ কাশ্মিরের পুলওয়ামা গ্রামের স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন বিদ্রোহী আহসান শেখের বাড়িও ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনারা। পুলিশের দাবি তিনিও লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য।
তবে তার বাড়িটি ধ্বংস করতে গিয়ে অন্তত আরও ১২টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে ভারতীয় সেনারা। তাদের একজন আলজাজিরাকে বলেছেন, “আমরা ইশার নামাজ পড়ছিলাম। তখন তারা আমার প্রতিবেশীর বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটায়। আমাদের নিজের বাড়ি এবং পাশে থাকা আরও এক ডজন বাড়িও ধ্বংস হয়েছে। আমাদের দোষ কী ছিল। আমরা এখন কী করব জানি না। তারা শুধুমাত্র আমাদের প্রতিবেশী ছিল।” পেহেলগামে হামলার পর জম্মু-কাশ্মিরের বিভিন্ন জায়গায় গণ গ্রেপ্তার চালাচ্ছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। এ নিয়ে সেখানকার মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin
কমেন্ট বক্স